বিজয় দিবসের উপলক্ষে মোদির পোস্টে বাংলাদেশের নামের কোন উল্লেখ নেই – Daily Bhorer Potrika

বিজয় দিবসের উপলক্ষে মোদির পোস্টে বাংলাদেশের নামের কোন উল্লেখ নেই

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫

বাংলাদেশের মুক্তির জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম চলেছিল, যেখানে লাখো জীবন উৎসর্গ করে তারা নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করে। যুদ্ধের শেষ মুহূর্তে ভারতীয় সেনারা এই সংগ্রামে যোগ দেয়, এবং এর ফলে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। তাই এই দিনটি মূলত বাংলাদেশের জন্য ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশ তার স্বতন্ত্রতার জন্য এদিনগণ মহান অকপটে পালন করে প্রতিবছর।

তবে এই বছরে বিজয় দিবসের উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৬ ডিসেম্বরের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এক বিশেষ পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ১৯৭১ সালের সেই ঐতিহাসিক দিনে ভারতের বিজয়কে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু অসম্ভবভাবে একবারও বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেননি। মোদির পোস্টে তিনি লিখেছেন, “বিজয় দিবসে, আমরা আমাদের সাহসী সেনাদের স্মরণ করছি, যাদের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল। তাদের দৃঢ় মনোবল এবং নিস্বার্থ সেবা আমাদের দেশকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের ইতিহাসে গৌরবময় মুহূর্ত খোদাই করেছে। এই দিনটি তাদের সাহসকে সম্মান জানাতে এবং তাদের অসাধারণ মনোবলকে স্মরণে রাখতে আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাদের বীরত্বের গল্প আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগায়।”

এরআগে ভারতীয় সেনারা এক বিবৃতিতে বিজয় দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরলেও তারা আবারো উল্লেখ করে, “বিজয় দিবস শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়— এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক।” তারা আরও বলেছে, “মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়েছিল। এই বিজয় ছিল ঐতিহাসিক, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে লড়াই করে মর্যাদার সাথে নিজের বিজয় ছিনিয়ে নেয়। এই বিজয় ভারতের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু করে, দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রকে নতুন করে আঁকায় এবং বাংলাদেশের জন্মের মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটায়।

ভারতীয় সেনা আরও উল্লেখ করে, “পাকিস্তানি সেনারা পুরো জাতির ওপর চালানো বর্বরোচিত অত্যাচার ও নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটিয়েছে এই যুদ্ধ, যা বিশ্বের দৃষ্টিকোণে এক নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে বিজয়।”