গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হঠাৎ বিমান হামলায় হামাসের এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি সেনারা এ অবস্থানে বলেছে, গাজা শহরে চালানো ওই হামলায় তারা হামাসের সিনিয়র কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন।
তবে হামাসের পক্ষ থেকে এখনো এই হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি। তারা বলছে, গাজা শহরের বাইরে এক বেসামরিক যানবাহনে ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়েছে এবং এই ঘটনা ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী টেলিগ্রামে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেছে, রায়েদ সাদ হামাসের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন। তারা উল্লেখ করে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার অন্যতম মূল আড়.statistics।
যদি ইসরায়েলি দাবি ঠিক হয়, তাহলে রায়েদ সাদ নিহত হওয়ার ঘটনা হচ্ছে অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর হামাসের সবচেয়ে উচ্চ-পদস্থ শীর্ষ কমান্ডার। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন সাদ। তিনি তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রধান হিসেবে দেখছেন।
হামাসের বিভিন্ন সূত্র বলছে, তাকে ইজ্জ আল-দিন আল-হাদ্দাদ-এর পর সংগঠনের সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-in-command হিসেবে থাকতে দেখা যায়।
অন্যদিকে, ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি জংশনে একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাড়িতে আঘাত করে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে এই হতাহতের সংখ্যা বা এই হামলায় রায়েদ সাদ নিহত হয়েছেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
গত অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি, এরপর থেকে ইসরায়েল নাজুক পরিস্থিতিতে গাজায় দিন দিন আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে তারা প্রায় ৮০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।
এখনো পর্যন্ত এতো ব্যাপক লড়াইয়ে ইসরায়েলের এই সর্বশেষ হামলার সত্যতা ও এর প্রভাব বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
