তারেক রহমানের দাবি: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপিরই নিরাপদ – Daily Bhorer Potrika

তারেক রহমানের দাবি: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপিরই নিরাপদ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মূলত বিএনপির হাতেই নিরাপদ। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির তৃতীয় দিনের সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন, যা তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে দেন।

তারেক রহমান বলেন, একজন রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণ আমাদের বাস্তব ও স্পষ্ট পরিকল্পনা চায়। তারা জানতে চায়, আমরা কিভাবে দেশের প্রশাসন পরিচালনা করব, জনগণের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করব। আমাদের পুরো পরিকল্পনাগুলো তারা দেখতে চায়। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য একটি বিশদ পরিকল্পনা শুধুমাত্র বিএনপির রয়েছে, অন্য কোনো দলের নেই।

তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব শুধুমাত্র বিএনপির কাছেই নিরাপদ। দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে যদি বিভাজন ও বিভক্তি বাড়ে, তবে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে উঠতে পারে। বিভাজন বিন্দুটি থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

বিএনপির সমালোচনার মধ্যে তিনি উল্লেখ করেন, অনেক বিষয় নিয়ে নানা বক্তব্য শুনলেও ক্ষমতায় গেলে দেশের পরিচালনামূলক পরিকল্পনা সম্পর্কে কেউ এত বিস্তারিতভাবে বলতে পারেনি যতটা সম্ভব বিগত সময়ে করেছেন বিএনপি। তিনি জানান, একবার ক্ষমতায় আসলে বিএনপি চার কোটি পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ বিতরণ করবে এবং সরকারের সকল সুবিধা ও সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে।

আইনশৃঙ্খলা নিয়েও তিনি নিশ্চয়তা দেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেকোনো মূল্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। বিচারবর্হিভূত কোনো বিষয় নয়, বরং আইন অনুযায়ীই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দুর্নীতি দমনেও বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন, এবং ক্ষমতায় গেলে স্বাবলম্বী মা, স্বাবলম্বী পরিবার গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে।

শিক্ষা বিষয়েও তারেক রহমান উল্লেখ করেন, স্কুলে একাধিক ভাষার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজের পছন্দের ভাষা নির্বাচন করতে পারবে। ইংরেজির পাশাপাশি অন্য এক ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা হবে যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রবীণতা অর্জন সম্ভব হয়।

তরুণদের জন্য তিনি বলেন, ভোকেশনাল শিক্ষা কিছু বিষয় বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে শিশুরা ছোট বয়স থেকেই স্বাধীন ও সক্ষম হয়ে উঠে। জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে যেখানে ভাষা শিক্ষা দেওয়া হবে।

প্রায় ৩ লাখ মসজিদের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মসজিদে থাকা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি। তাদের সামাজিক সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি প্রয়োজন।