শীতের আগাম সবজিতে তুলনামূলক স্বস্তি, ডিম ও মুরগির দাম কমেছে – Daily Bhorer Potrika

শীতের আগাম সবজিতে তুলনামূলক স্বস্তি, ডিম ও মুরগির দাম কমেছে

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: নভেম্বর ২, ২০২৫

কোনও কিছু আগে কিছু সপ্তাহ আগে বাজারে ৬০ টাকা কেজির নিচে কোনও সবজিই দেখা যায়নি। তবে এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। শীতের আগাম সবজিগুলোর সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজির কেজিপ্রতি দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

দুই সপ্তাহ আগে ডিমের গড় দাম ছিল দেড়শো টাকা, যা এখন কমে ১৩০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। চিংড়ি মাছের কিছুদিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে এ সপ্তাহে বাজারে মাছের সরবরাহ আবার শুরু হয়েছে। তবে ইলিশের দাম এখনো বেশ高, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, শিম, ফুলকপি এবং বাঁধাকপির দামের কমতির প্রভাব অন্যান্য সবজির দামেও পড়েছে। এতে করে ডিম ও মুরগির বাজারেও কিছুটা স্বস্তির অনুভূতি দেখা যাচ্ছে।

বাজার পরিদর্শনে দেখা যায়, শীতের আগাম ਸ਼িম এখন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে এবং মূলার কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু এখন ২০ টাকায়, কাঁচা পেঁপে ও কচুর মুখির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকায়, লম্বা বেগুন, করলা, বরবটি, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামও কমে ১০০ টাকার মধ্যে পৌঁছেছে, তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে এসব দাম কিছুটা বেশি।

রামপুরা কাঁচাবাজারের এক বিক্রেতা সুজন মোহাম্মদ বলেন, এখন সবজির দাম নিয়ে ক্রেতাদের আর উদ্বেগ নেই। শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমে গেছে।

এদিকে, ইলিশ মাছের বাজারে আরও কিছুদিনের জন্য নতুন করে বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এ মাছের দাম আগের মতোই উচ্চতর। রামপুরা বাজারে ছোট ৩০০-৪০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজিতে ৮০০ টাকা দরে। বড় সাইজের ৮০০ গ্রাম ইলিশের মূল্য ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা। অন্যান্য মাছের দামও গত কয়েক সপ্তাহের মতোই থাকবে।

সবজির দাম কমে যাওয়ায় ডিম ও মুরগির বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত সপ্তাহে ডিমের দাম ছিল দেড়শো টাকার কাছাকাছি, কিন্তু বর্তমানে এটি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লার দোকানে এখনও ডিমের দাম ১৪০ টাকাই থাকছে।

ব্রয়লার মুরগির কেজির দাম এখন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় নামিয়েছে। তবে সোনালি জাতের মুরগির দাম আগের মতোই রয়ে গেছে, যা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকার মধ্যে ধরা হয়েছে।

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দেশি পেঁয়াজের মানসম্পন্ন কেজি এখন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়।

দেশি মসুর ডালের দাম আগের মতোই রয়ে গেছে, ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। তবে আমদানিকৃত মসুর ডালের দাম এখন ৯৫ থেকে ১০৫ টাকায় এর কেজি। চিনির বাজারে কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে, যেখানে কেজি দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায়। তার পাশাপাশি ভোজ্যতেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।