টোয়াবের আয়োজনেঃ তিনদিনব্যাপী পর্যটন মেলা শুরু – Daily Bhorer Potrika

টোয়াবের আয়োজনেঃ তিনদিনব্যাপী পর্যটন মেলা শুরু

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: অক্টোবর ৩১, ২০২৫

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন মেলা, ১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) ২০২৫, আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো। এই বিশাল মেলার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটন সমৃদ্ধির নতুন দিগন্ত খুলে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা লুতফে সিদ্দিকী, যিনি আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিশেষ দূত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করতে সকল স্টেকহোল্ডার একসাথে কাজ করছে, এবং সরকারের তরফ থেকেও এর উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তিন দিনব্যাপী এইমেলা উদযাপন উপলক্ষে থাকছে নানা আয়োজন। এতে অংশ নিচ্ছে দেশের শীর্ষ পর্যটন সংস্থাগুলো এবং দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন, হোটেল, রিসোর্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কোম্পানি। এদের মধ্যে দেশি-বিদেশি প্রায় ১২০টির বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা প্রায় ২২০টি স্টল ও ২০টি প্যাভিলিয়নে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, শ্রীলংকা, ফিলিপাইন, তুরস্ক এবং বাংলাদেশ থেকে পর্যটন সংস্থা ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো ভিজিটরদের জন্য রেখেছেন নানা ছাড়োপণ্য, যেমন বিমান টিকিট, হোটেল রুম বুকিং, ভ্রমণ প্যাকেজ ইত্যাদি। স্কাইলাইন হিসেবে থাকছে সাইড ইভেন্টস: সেমিনার, স্যুশান, অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান, এবং দেশের বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যের প্রামাণ্যচিত্র। এছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্রের আকর্ষণ। প্রবেশের জন্য মূল মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা, তবে শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও জোয়ানদের জন্য উন্মুক্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও নুজহাত ইয়াসমিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী নায়লা আহমেদ, বিমান বাংলাদেশের এমডি ড. মো. সাফিকুর রহমান, ও পুলিশ মহাপরিদপ্তরের আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে টোয়াবের উপদেষ্টা, স্টিয়ারিং কমিটি এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এটি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মেলা, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে আরও বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করবে।