গাজার একই এলাকায় দেড় মাসে ১৩৩ হামলা, নিহত ১৯০৩ – Daily Bhorer Potrika

গাজার একই এলাকায় দেড় মাসে ১৩৩ হামলা, নিহত ১৯০৩

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫

গাজায় ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চল’ বলে দাবি করা এলাকাগুলোতে বারবার ইসরায়েলি হামলা চালানো হচ্ছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এসব হুমকি ও হামলায় কমপক্ষে ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনাকে উপেক্ষা করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় দখলদার সেনারা স্থল অভিযান আরও জোরদার করেছে।

গাজার সরকারি গণমাধ্যমের ভাষ্য, ইসরায়েল দখলদার সেনারা বলছে, তারা গাজার সেই এলাকাগুলো থেকে ফিলিস্তিনিরা উদ্ধার করে নিচ্ছে, যেখানে তাকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। তবে প্রথমেই উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত ১১ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ ও মধ্য গাজার অন্তত ১৩৩টি হামলায় ১৯০৩ জন নিহত হয়েছেন, যা গাজার মোট প্রাণহানির প্রায় ৪৬ শতাংশ। সরকারি সূত্রের মতে, এই হামলা সরাসরি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও হস্তক্ষেপের জন্য তারা আহ্বান জানাচ্ছে, যদি বিশ্ব নীরব থাকেন, তবে এই হত্যাযজ্ঞ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে সতর্ক করেছে।

গাজার হাসপাতালে চলমান হামলার কারণে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র গোলাবর্ষণের কারণে জর্ডান ফিল্ড হাসপাতাল থেকে ১০৭ রোগীসহ চিকিৎসক-কর্মীদের উচ্ছেদ করতে হয়েছে। আগেই সংকটের মধ্যে থাকা গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল অ্যানাস্থেসিয়া ও অ্যান্টিবায়োটিকের মতো মৌলিক ওষুধের অভাবে ক gig। ক্ষুধার্ত চিকিৎসকরা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু থাকলেও উত্তর গাজা থেকে আসা আহতের চাপ বেড়ে গেছে, যার ফলে চিকিৎসার ব্যয় মারাত্মকভাবে বাড়ছে।

আল-আকসা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক খলিল দিগরান অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সেনারা শিশুবিষয়ক এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি এই হামলা চলতেই থাকে, তবে দক্ষিণ গাজার অন্যান্য হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া হিসাবে যুদ্ধবিরতির দাবিতে আজ বিভিন্ন দেশের শহর জার্মানির বার্লিন, যুক্তরাজ্যের লিভারপুলসহ নানা স্থানে বিক্ষোভ হয়। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই গাজা যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছেন। তিনি দাবি করেন, শীঘ্রই কোনো সমঝোতা হবে। কিন্তু হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব পৌঁছায়নি। হামাসের একজন কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি।’

অতএব, আগামী সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এই আলোচনা ও পদক্ষেপের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান aspiring success or pending escalation. এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপ ব্যাহত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।