সোনার দাম সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় – Daily Bhorer Potrika

সোনার দাম সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায়

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫

অতীতের সব রেকর্ডকে ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছিয়েছে সোনার মূল্য। বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম এখন ৩ হাজার ৫০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর ফলে, দেশের বাইরে বিশাল সংখ্যক বিনিয়োগকারী সোনা ক্রয় করতে আগ্রহী হচ্ছেন, কারণ তারা মনে করছেন এর মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। খবর রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববাজারে সোনার মূল্য পৌঁছেছে ৩৩৭৫ ডলার (প্রতি আউন্স), যা বাংলাদেশের বাজারে আনুমানিক ৪ লাখ ২১ হাজার ২০ টাকায় হিসেবে ধরা হয়েছে (সংগৃহীত ধার্য প্রতিটি ডলার ১২০ টাকার মানে)। এই হিসাব অনুযায়ী, এক ভরি সোনার মূল্য এখন প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৬০ টাকা।

এখন পর্যন্ত চলতি বছরের মোট সোনার দাম বেড়ে গেছে ৩০ শতাংশের বেশি, যা তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উত্থান। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতির অবস্থা দুর্বল হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানোর সম্ভাবনাই এই মূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী। কাইল রড্ডা নামে একজন আর্থিক বিশ্লেষক বলেন, ‘অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং মার্কিন ডলার দুর্বল হওয়ার ফলে মূল্যবান ধাতুর বাজার চাঙা হয়ে উঠেছে।’ তিনি আরও বলেন, “ফেডারেলের স্বাধীনতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডের অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন, তার ফলে ডলারভিত্তিক সম্পদের উপর আস্থা কমে গেছে।”

ট্রাম্প বছরজুড়ে ফেডের সমালোচনা করেছেন, প্রধানত সুদহার কমাচ্ছে না বলে। সম্প্রতি তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়াশিংটন সদর দপ্তরের ব্যয়বহুল সংস্কার কাজ নিয়েও মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন।

অর্থনীতিবিদরা উল্লেখ করেছেন যে, যদিও সোনায় প্রকৃত কোনও সুদ পাওয়া যায় না, তবে যখন ফেডের সুদহার কমে যায়, তখন বিনিয়োগকারীদের জন্য সোনা আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ফলে, ফেডের সুদহার কমার প্রত্যাশায় সোনার দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখন আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে, যার ফলে ডলার দুর্বল হয়ে পড়ছে। বর্তমানে ডলার মূল্য দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তানে পৌঁছেছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ডলারে বিশ্বাস হারাচ্ছেন।

সংক্ষেপে, বিশ্ববাজারে সোনার এই রেকর্ড উর্ধ্বগতি স্থানীয় বাজারেও ব্যপক প্রভাব ফেলেছে, এবং অর্থনীতির অস্থিরতা ও ফেডের নীতি পরিবর্তনের প্রত্যাশা সোনার ভবিষ্যৎ দামকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।