হাওরে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রোমাঞ্চকর শর্টফিল্ম ‘নাওবিবি’ – Daily Bhorer Potrika

হাওরে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রোমাঞ্চকর শর্টফিল্ম ‘নাওবিবি’

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫

হাওর অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা তুলে ধরতে নির্মিত হয়েছে রোমাঞ্চকর শর্টফিল্ম ‘নাওবিবি’। এই চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ, যারা একজন জনপ্রিয় রহস্য ও থ্রিলার লেখক হিসেবে পরিচিত। পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা মশিউর রহমান কায়েস, এবং প্রযোজনা করেছেন ম্যাক রিপন।

সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের নিকলী ও করিমগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশন में এই শর্টফিল্মের দৃশ্যধারন সম্পন্ন হয়েছে। এই ছবিতে একটি দুর্দান্ত দৃশ্যে দেখা যাবে মাহাফুজ মুন্না ও নেহানকে, যাদের উপস্থিতি দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলবে।

শর্টফিল্মের কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে মাহাফুজ মুন্নাকে। তিনি এর আগে ‘উড়াল’ সিনেমায় কাজ করেছেন, যেখানে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। রহস্যময় তরুণী মায়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইসরাত জাহান পমি, যিনি মূলত একজন গায়িকা। এই প্রথম কোনও ফিকশনে তিনি অভিনয় করছেন, তবে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তার পরিচিতি রয়েছে দুইবারের নতুন কুঁড়ি পুরস্কার পাওয়া সংগীতজ্ঞ হিসেবে।

ফিল্মের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন আহমদ আমিন, এবং সিনেমাটোগ্রাফিতে রয়েছেন আনন্দ সরকার। এছাড়াও, ফেঁউচ্চা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহ শান্ত ও শিশু চরিত্রে অভিনয় করেছে শাহ ওবায়েদ নেহান।

নির্মাতা মশিউর রহমান কায়েস বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের একটি সুন্দর টিম কাজ করছে। আমরা হাওরের প্রকৃতি, জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা এবং সংস্কৃতিকে একত্রে তুলে ধরতে চাচ্ছি, যাতে করে দর্শকরা এই শৈল্পিক দর্শন উপভোগ করতে পারেন।’ বর্তমানে পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ চলছে বলে তিনি জানান।

শর্টফিল্মে ট্র্যাভেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন মাহাফোজ মুন্না, যিনি বলেন, ‘চিত্রনাট্য খুব ভালো লেগেছিলো, এই প্রজেক্টে কাজ করতে ইচ্ছুক হয়ে পড়ি। চরিত্রের গভীরতা বুঝতে আমি অনেক সময় নিয়েছি, শরির ও মন দিয়ে চরিত্রে ঢুকেছি। শুটিংয়ের আগে থেকে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত হই শুটের জন্য।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘এটি একটি স্বাধীন চলচ্চিত্র, তাই দলবেঁধে কাজ চালানো অনেক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল। তবে টিমের সকলের সহযোগিতায় আমি সফল হয়েছি।’

রহস্যময় তরুণী মায়ার চরিত্রে অভিনয় করা ইসরাত জাহান পমি বলেন, ‘আমি এই চরিত্রে কাজ করে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে গেছি। আমাকে হাওরের প্রতিনিধিত্ব করতে হয়েছে, যেন দর্শকরা শুধু গল্প নয়, হারিয়ে যায় এই প্রকৃতি ও সংস্কৃতির গভীরে।’

‘নাওবিবি’ মূলত হাওরের আবেগ, রহস্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা নিয়ে তৈরি। এটি একজন কিশোরের রহস্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা এবং হাওরের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। গল্পে দেখা যায়, এক ট্র্যাভেলার হাওরে আসলে অদ্ভুত কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়, যেখানে রাতের অন্ধকারে হঠাৎই জলতে জ্বলে ওঠে অজানা আগুন, আর সেই আগুনের ওপারে দেখা যায় রহস্যময় তরুণী মায়াকে। তাকে অনুসরণ করে ট্র্যাভেলার হাওরের অজানা রহস্যের ভেতর ঢুকে যায়। সেই রহস্যের আবর্তে হাওরের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষের মনোভাব প্রকাশ পায়।

শর্টফিল্মটির মূল থিম হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও হারিয়ে যাওয়া প্রকৃতি। এ ছাড়াও এতে রয়েছে রোমাঞ্চ, রহস্য, আবেগ এবং সিনেমাটিক আবহ।

নির্মাতা মশিউর রহমান কায়েস বলেন, ‘পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ হলে ‘নাওবিবি’ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হবে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এর প্রদর্শনী হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’