রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে প্রস্তুত। নিজেই এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, জানিয়ে দিয়েছেন যে জেলেনস্কি যেকোনো সময় মস্কোতে আসতে পারেন। এই মন্তব্য তিনি করেছেন চীনের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকাকালীন, ৩ সেপ্টেম্বর।
প্রায় আড়াই বছর ধরে চলা ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসানের জন্য জোরদার কূটনৈতিক উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঘোষণা দেন যে শীঘ্রই পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। এই বৈঠককে সামনে রেখে ট্রাম্প চেষ্টা চালাচ্ছেন, তবে এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এর মধ্যে পুতিন নতুন করে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কখনোই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা অস্বীকার করেননি। তবে তিনি যোগ করেছেন, ‘এমন বৈঠকের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়া দরকার। যদি সব প্রস্তুতি নেওয়া থাকে, তবে আমি প্রস্তুত। জেলেনস্কি যেকোনো সময় মস্কো আসতে পারেন।’
যদিও ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবকে নেতিবাচকভাবে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। জেলেনস্কি বারবার অভিযোগ করেছেন যে রাশিয়া তার সঙ্গে বৈঠকের অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, আর এই অস্বীকৃতি মূলত রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শক্ত করতে ট্রাম্পের অন্যায্য চাপের ফল।
পুতিন আরও বলেছেন, যদি ইউক্রেন কোনো চুক্তিতে রাজি না হয়, তবে রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জন করে ছাড়বে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে, আর সেটা ইউক্রেনের জন্য যেমন প্রয়োজন, রাশিয়ার জন্যও। আমরা চাই না ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে। আমাদের মূল লক্ষ্য ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল নয়, বরং মানুষের অধিকারের সুরক্ষা।’
এমন পরিস্থিতিতে, পুতিনের এই বিবৃতি আবারও আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে, যেখানে তিনি সরাসরি আলোচনার জন্য প্রস্তুতি দেখিয়েছেন কিন্তু ইউক্রেন এখনো এই প্রস্তাবকে নেতিবাচকভাবে দেখছে।