৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে গঙ্গা চুক্তি নবায়নের জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে – Daily Bhorer Potrika

৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে গঙ্গা চুক্তি নবায়নের জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫

গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের ও ভারতের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা নবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন, যেখানে মূল আলোচ্য বিষয় হবে গঙ্গা পানির বন্টন চুক্তির নবায়ন।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একজন কারিগরি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন। তারা দক্ষিণ দিল্লিতে এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। আগামী বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত গঙ্গা চুক্তির নবায়ন।

প্রতিবছর বাংলাদেশের ও ভারতের মধ্যে দুইবার করে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়, যা এই জলসম্পদ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রীতি। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর মার্চে দিল্লিতে দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিশেষ করে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে গঙ্গা একমাত্র নদী, যার পানিবণ্টন চুক্তি এখনো স্বাক্ষরিত। এ ছাড়াও ছুঁই ছুঁই ঝুঁকি থাকা তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব এখনো অমীমাংসিত, যার মূল কারণ হলো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অখুশি থাকাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান।

গঙ্গার পানিবণ্টন সংক্রান্ত এই চুক্তিটি প্রথমে ১৯৯৬ সালে সই হয়েছিল, যেখানে স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ. ডি. দেবগৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, যা আগামী বছরের জুন মাসে শেষ হতে যাচ্ছে। এজন্যই বর্তমানে এই চুক্তির নবায়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। তখন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেছিলেন, গঙ্গার এই চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালে শেষ হবে, তাই নবায়নের জন্য উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

তারই ধারাবাহিকতায়, গত ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিটির বৈঠক হয়েছে। প্রথম দিনে ফারাক্কার অঞ্চলের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির ৮৬তম সভা হয় এবং পরের দিন কারিগরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকগুলোতে নদীর পানিবণ্টনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

এভাবেই বাংলাদেশের ও ভারতের মধ্যে জলসম্পদ এবং পানিবণ্টন বিষয়ক আলোচনা চলমান রয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্ক এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।