৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৯৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে পিএসসির ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। তবে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ২৫৬টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষা-২০১৮-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারের ১ হাজার ৯০৩টি শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞাপিত ১ হাজার ৯০৩টি পদের সঙ্গে অতিরিক্ত আরো ৩১৬টি পদ যোগ করে বিভিন্ন ক্যাডারের মোট ২ হাজার ২১৯টি পদে সুপারিশের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং মৌখিক পরীক্ষার জন্য আমন্ত্রিত ১০ হাজার ৯৬৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ২৫৪ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম ও প্রার্থীদের ক্যাডার পছন্দক্রম অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৯৬৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে কমিশন কর্তৃক সুপারিশ করা হয়েছে। যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী না পাওয়ায় কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের ২৫৬টি পদে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি এমন ৮ হাজার ১৬৬ জন প্রার্থীকে নন-ক্যাডার পদের জন্য কৃতকার্য করা হয়েছে। সুপারিশসংক্রান্ত বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি কমিশনের http://www.bpsc.gov.bd/ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের http://bpsc.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
৪০তম সাধারণ বিসিএসের জন্য আবেদন করেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। তবে ২০১৯ সালের ৩ মে অনুষ্ঠিত এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন ৩ লাখ ২৭ হাজার প্রার্থী। ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন প্রার্থী। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন ১০ হাজার ৯৬৪ জন প্রার্থী। পরে করোনার কারণে মৌখিক পরীক্ষা পেছানো হয়। কয়েক ধাপে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়।