দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩০৪ কোটি টাকার। বন্দরটি চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে পাকাপোক্তভাবে দেশীয় অর্থনীতিতে অংশীদারিত্ব করছে।
‘বন্দর থেকে এগিয়ে চলার বাংলাদেশ’ এ স্লোগান নিয়ে পায়রা বন্দর অর্থনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলো ২০১৬ সালের ১ আগস্ট। আর এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমদিনে প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ ছিলো ফরচুন বার্ড। এ পর্যন্ত এ বন্দরে মোট ১৫০টি পণ্যবাহী জাহাজ পণ্য খালাশ করেছে। সেই থেকে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা; -বন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানিয়েছে।
দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাজ চলছে সমানতালে। ব্যাংক চালু হয়েছে পায়রা বন্দরে। ইতোমধ্যে পায়রা বন্দর প্রকল্প এলাকায় প্রশাসনিক ভবন, সার্ভিস জেটি, পন্টুন, সিকিউরিটি ভবন, ওয়্যার হাউস, পানি শোধনাগার চালু হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজ শেষের পথে। দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বরগুনার আমতলী অংশের কুয়াকাটাগামী মহাসড়ক থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো পর্যটকও আসছেন পায়রা বন্দর দেখতে।
প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ জনপদের মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে এগিয়ে চলছে পায়রা বন্দরে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ছয়টি প্যকেজের নির্মাণ কাজ।ইতোমধ্যে তিনটি প্যাকেজের কাজ শেষ। পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবারকে। ২০২৩ সালের মধ্যে পায়রার রাবনাবাদ চ্যানেলের চারিপাড়ায় নির্মাণ সম্পন্ন হবে প্রথম টার্মিনাল এবং কন্টেইনার ইয়ার্ড।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ মোহনায় আন্ধার মানিক নদীর তীরে টিয়াখালীতে ১৬ একর জমির ওপর দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্প কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আর থামেনি উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। দেশের তথা বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি এখন পায়রা বন্দরের দিকে। বাসস