আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্থায়ী লকডাউন কোনো সমাধান নয়। তাই করোনা নামক এই অদৃশ্য শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সচেতনতার অস্ত্র শানিত করতে হবে।’ গতকাল বুধবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গতকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য সৃষ্টির জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গতকাল থেকে লকডাউন শিথিল করেছেন। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর সব প্রতিষ্ঠান খুলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী ক্রমান্বয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছেন। সেজন্য প্রয়োজন গণটিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, যা সারা দেশে বিপুল আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।’
পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল করবে। গত এক মাসে এ পর্যন্ত চার বার পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কা। এই ধাক্কা বারবার কেন? আমরা জানতে চাই, এটা চালকের অদক্ষতা না অন্তর্ঘাত—খতিয়ে দেখতে হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করছি। কিন্তু ৫০ বছরেও স্বাধীনতার একটি বস্তুনিষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস আমরা পাইনি। আমি আশা করব, ইতিহাস অর্পিত এই দায়িত্বটি বাংলা একাডেমি শুরু করতে পারে।’
বঙ্গবন্ধুর একটা বস্তুনিষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ জীবনী জাতির জন্য আজকে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার রাজনৈতিক সরকার। রাজনীতিকরা সিদ্ধান্ত নেন, বাস্তবায়ন করে আমলারা। সব পলিসির মূল ব্যক্তি হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। এ সরকার আমলানির্ভর নয়, এ সরকার গণমুখী সরকার।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।