আগের কার্যদিবস কিছুটা পতন হলেও গতকাল বুধবার কিছুটা উত্থানে শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। গতকাল সূচক বাড়লেও লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশির ভাগের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কিছুটা কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে ব্যাপক অস্থিরতা ছিল। তবে দিনশেষে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়।
ফলে প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে যায়। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ১০টা ৩০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
অবশ্য সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। বেলা ১১টার পর আবার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন দেখা দেয়। দেখতে দেখতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান পতনের তালিকায় চলে যায়। এতে একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৬০ পয়েন্ট পড়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে লেনদেনের শেষ দিকে বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। ফলে বড় পতন থেকে বের হয়ে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬২৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্য সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সব খাত মিলে বাজারটিতে ১১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ২৩৬টির দাম কমেছে ও ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে দিনভর লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ২১২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় দুই হাজার ৮৪০ কোটি ১১ লাখ টাকা।
সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৬২৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ২০০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের ৯৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালেক স্পিনিং।