যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, জাতির পিতার দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফট্যানেন্ট শহীদ শেখ জামাল তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শেখ জামাল হতে পারে বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।
এরআগে, সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৬৮তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
আজ বুধবার দুপুরে শেখ জামালের ৬৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, শেখ জামাল শুধু সেনাবাহিনীর একজন মেধাবী ও চৌকস অফিসারই ছিলেন না, একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অনন্য অবদান রেখেছিলেন। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতিটি সদস্যই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একেকটি আলোকবর্তিকা। স্বাধীনতার পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে শহীদ শেখ জামালের অবদানও সূর্যের আলোর মতোই দীপ্যমান। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তার কর্মময় জীবন ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান করতে হবে।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে শহীদ শেখ জামালের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখার মানসে আমরা জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সকে শেখ জামালের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। তিনি শুধু ফুটবল ক্রিকেট নয়, ভালো টেনিস খেলোয়াড়ও ছিলেন।
শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামাল গৃহবন্দি থাকলেও সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। তিনি ছিলেন একজন চৌকষ-মেধাবী সেনা অফিসার।
রাসেল বলেন, শেখ জামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাত্রিতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত হন। জন্মদিন স্বভাবতই সবার কাছে আনন্দের। কিন্তু রক্তাক্ত বিদায় সে আনন্দকে ম্লান করে দেয়। মুক্তির সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অবদান বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে চিরদিন স্মরণ করবে।
নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শেখ জামালকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সঙ্গে স্মরণ করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ১৯৫৪ সালের (২৮ এপ্রিল) গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন শেখ জামাল।