প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রতিপক্ষকে লজ্জার হার উপহার দিলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। খুলনার দেয়া ৮৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে হেসে খেলেই জয় নিশ্চিত করে লিটন-সৌম্যের চট্টগ্রাম। খুলনাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো তারা।
বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপে টানা দুই ম্যাচেই দর্শকদের চমক উপহার দিলো চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ঢাকাকে ৮৮ রানে অলআউট করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও তারকা ভরা খুলনাকে ৮৬ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। খুলনার দেয়া ৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৩ দশমিক ৪ ওভারেই জয় তুলে দিলো লিটন-সৌম্যের চট্টগ্রাম।
প্রথম ম্যাচের মতোই প্রতিপক্ষকে ১০ উইকেটে হারানোর সুযোগ থাকলেও দলীয় ৭৩ রানের মাথায় মাহমুদউল্লাহর বলে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য। তার আগে ২৯ রানের এক ইনিংস উপহার দেন। সৌম্য আউট হলেও মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠে ছাড়েন লিটন। দলের পক্ষে অপরাজিত ৫৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস উপহার দেন লিটন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে একাই ধস নামিয়ে দেয় চট্টগ্রামের মুস্তাফিজ। তার বোলিংয়ের তোপে ৩ দশমিক ৫ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়াও তাইজুল ইসলাম ও নাহিদুল ইসলাম শিকার করেন দুটি করে উইকেট।
খুলনা তাদের ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যর্থতার পরিচয় দিতে থাকে। প্রথম ওভারেই রান আউটের ফাঁদে পরে মাঠ ছাড়েন এনামুল হক। বরাবরের মতোই ব্যর্থতার চাকায় ঘুরপাক খাওয়া সাকিব আল হাসানও মাত্র ৩ রানেই ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন।
দুই রান তুলতেই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও নাহিদের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়লে অনেকটাই বিপাকে পড়ে খুলনা। এমন ঘুরপাকের মধ্যেই ১৭ দশমিক ৫ ওভারে টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন স্কোর ৮৬ রান করে অলআউট হয় খুলনা।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন মুস্তাফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জেমকন খুলনা ৮৬/১০ (১৭.৫ ওভার)
ইমরুল ২১, আরিফুল ১৫, জহুরুল ১৪, শামীম ১১, বিজয় ৬, সাকিব ৩;
মুস্তাফিজ ৪/৫, নাহিদুল ২/১৫, তাইজুল ২/৩০।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৮৭/১ (১৩.৪ ওভার)
লিটন ৫৩*, সৌম্য ২৯, মুমিনুল ৫
রিয়াদ ১/১৬।