ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিলম্বিত হবে – Daily Bhorer Potrika

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিলম্বিত হবে

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধিতে সরকারের পরিকল্পনা হোঁচট খেয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির ঝাড়খন্ডে শিল্পগোষ্ঠী আদানীর নির্মাণাধীন একটি বিদ্যুেকন্দ্রের কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানিও দেরি হবে। এমনকি কবে নাগাদ আমদানি শুরু করা যেতে পারে তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, ভারতের ঝাড়খন্ডের গড্ডায় দুই ইউনিটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ করছে আদানি। কেন্দ্রটিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনে নিবে পিডিবি। আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির ঐ কেন্দ্রেটির প্রকৌশল ও নির্মাণ কাজ করছে চীনা কোম্পানি সেপকো ইলেকট্রিক পাওয়ার ও ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, হংকংয়ের তাইজুন ইন্টারন্যাশনাল এবং জ্যামাইকার এইচটিজি ইঞ্জিনিয়ারিং। প্রকৌশল ও নির্মাণকাজে জড়িত বেশির ভাগই চীনা নাগরিক। চীনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে আটকে পড়েছে অনেক প্রকৌশলী-কর্মী। পাশাপাশি আর্থিক ছাড় এবং অগ্রগতিও থেমে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে গত জানুয়ারির শেষ দিকে নির্মাণকাজে জড়িত কোম্পানিগুলো কেন্দ্রটির নির্মাণ সম্পন্ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হবে বলে জানিয়েছে আদানিকে। আর আদানি পাওয়ার গত সপ্তাহে এক চিঠিতে জানায়, করোনা ভাইরাসের কারণে ঝাড়খন্ডের বিদ্যুেকন্দ্রটির উন্নয়ন কাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আদানি পাওয়ারের পরিচালক বিকাশ মন্ডল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জানানো হয়, চীন সরকার দেশটির সকলকে ঘরে অবস্থান করতে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দিয়েছে। অনেক শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে প্রকল্পটির প্রকৌশল, কেনাকাটা, নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও পরিবহন করা যাচ্ছে না বলে সেপকো জানিয়েছে।

পিডিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ২০২২ সালের শুরুর দিকে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরুর কথা ছিল। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ সম্প্রতি গতি পেয়েছিল। এখন আবার থমকে গেছে। খুব আশাবাদী হলেও করোনার প্রভাব আরো কয়েক মাস থাকবে। আরো খারাপ কিছুও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অনেকটা অনির্ধারিত সময়ের জন্যই আটকে গেল সবচেয়ে বড়ো বিদ্যুৎ আমদানি প্রকল্পটি।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচায় বলেন, এসডিজির শিক্ষা ও অংশিদারত্বের সূচকে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো করছে। শুধু প্রাথমিকে ভর্তির হার বাড়ানোর তথ্যে সন্তুষ্ট থাকলে হবে না, এসডিজি অর্জন করতে হলে মাসম্পন্ন শিক্ষা দিতে হবে।