গত কয়েক দিন ধরেই ক্রিকেট পাড়ায় এটা সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন—জিম্বাবুয়ে সিরিজে কি খেলছেন মাশরাফি? হ্যাঁ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেছেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলবেন এবং অধিনায়কত্ব করবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে অধিনায়ক হিসেবে এটাই তার শেষ সিরিজ। কারণ, এক মাসের মধ্যে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করবেন বলে বোর্ড সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে খেলোয়াড় হিসেবেও এটা মাশরাফির শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ হতে পারে। কারণ, পাপন বলেছেন, এই সিরিজের পর দলে সুযোগ পেতে গেলে পারফরম্যান্স ও ফিটনেস প্রমাণ করেই আসতে হবে তাকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে যে সেই মাশরাফিই থাকছেন, সেটা পরিষ্কার করে দিলেন পাপন। তিনি বলছিলেন, ফিটনেসেও এই সিরিজে তাকে একটু ছাড় দেওয়া হতে পারে। তবে বিশ্বকাপ যেহেতু আর তিন বছরের মধ্যেই তাই নতুন অধিনায়ক তারা দ্রুতই ঘোষণা করতে চান, ‘মাশরাফি এই সিরিজে অবশ্যই খেলছে এবং সেটা অধিনায়ক হিসেবেই। ও ফিট না হলে সেটা ভিন্ন কথা। ওর জন্য আমরা অতোটা কড়াকড়ি করেতে চাচ্ছি না। তবে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের যে বিশ্বকাপটা আছে সামনে, হঠাত্ করে আগ মুহূর্তে অধিনায়ক দিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পাঠানোতো সম্ভব নয়। সুতরাং, খুব শীঘ্রই আমাদের এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। এই সিরিজটা পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছি।’
যদিও বোর্ড ভেবেছিল, মাশরাফিকে ঘটা করে বিদায় দেওয়া হবে। সেটা পাপন বললেনও। কিন্তু মাশরাফি সেটা চান না বলেই হচ্ছে না বলেও বোর্ড সভাপতি জানিয়ে দিলেন, ‘এটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। আমরা দেখেছি নামিদামি খেলোয়াড়রা পরিকল্পনা করেই বলে দেয়, এটা আমার শেষ সিরিজ। আমাদেরও ইচ্ছে ছিল, ও যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা ঘটা করে তাকে বিদায় জানাব। কিন্তু ও যদি খেলতে চায়, ও খেলতে পারে। আমরা কেবল অধিনায়কত্ব বিষয় নিয়ে ভাবছি। আমরা যদি অন্য কাউকে অধিনায়ক হিসেবে ডিক্লেয়ার করে দেই, তারপর ও যদি নিজের পারফরম্যান্সে দলে ঢুকতে পারে ঢুকবে। এটাতো কারো জন্য বাধা নয়। অধিনায়কত্বের ব্যাপারটিতে কিছুদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
নতুন অধিনায়ক ঘোষণার পরও মাশরাফির খেলোয়াড় হিসেবে খেলে যেতে কোনো বাধা থাকছে না। পাপন বলেছেন, ফিটনেস ও পারফরম্যান্স থাকলে তিনি খেলতেই পারেন, ‘ক্যাপ্টেন আমরা ঘোষণা করে দেব। তারপর কারো যদি পারফরম্যান্স ফিটনেস ঠিক থাকে তাহলে খেলতে তো কোনো সমস্যা নেই। কেউ যদি খেলে যেতে চায়, খেলবে। জাতীয় দলে চান্স পেতে হলে যা যা ক্রাইটেরিয়া আছে সেটা ফুলফিল করতে হবে।’