দেশ ও জাতির কল্যাণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের কর্মপ্রক্রিয়া থামানো যাবে না। এটা চলবে।দুর্নীতিপরায়নদের যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনের আওতায় আনা যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদেরকে তাড়া করা হবে।
আজ বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ‘দুর্নীতি দমনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের ইংরেজি নববর্ষ ও মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পেছনে প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। এই দুর্নীতির মাত্রা যতটা কমিয়ে আনা যায়, সেটাই হবে মুজিব বর্ষে আমাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম কাজ।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কমিশন কে বড় কে ছোট এমন কিছু বিবেচনা না করে নির্মোহভাবে পথ চলছে,অনেকটা অন্ধের মতো। বিগত প্রায় চার বছরে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমরা পিছপা হইনি। আমি দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি, এ সময়ে কারো দ্বারা প্রভাবিত হইনি। যা করেছি নিজের বিবেক-বিচেনা বোধ থেকেই কিেরছ।
তিনি বলেন, আপনার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো দোষ-ত্রুট খুঁজে পান তা নিয়েও সংবাদ প্রকাশ করবেন। জনগণকে জানাবেন। কারণ দুদক জনগণের প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক ছাড়া দুদকের অস্তিত্ব দৃশ্যমান নয়। আপনারা আমাদের শত্রু নন, বরং সহযোগী বা সহযাত্রী।
তিনি বলেন, ক্যাসিনোকাণ্ড নিয়ে অনেক কথা হয়। ক্যাসিনো ব্যবসা কিন্তু দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। তবে ক্যাসিনো ব্যবসা করে যে বা যারা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, সেটা দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ। ঠিক এ কারণেই আমরা অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাসস