১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার এক تاریخی পতাকা বহন করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে প্রস্তুত হচ্ছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বিশেষভাবে পরিচিত হবেন একজনের জন্য — তিনি উঁচু আকাশে ঝাঁপাবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ‘চিফ অ্যাডভাইজার জিওবি’ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, “১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা হাতে উড়াউড়ি করবেন, যার মধ্যে আশিক চৌধুরী উঁচু থেকে ঝাঁপ দিয়ে ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে চমক সৃষ্টি করবেন। এই দিনে আমরা ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা জানাই, কারণ তিনি দেশের জন্য ঐতিহাসিক এক ব্যক্তিত্ব।” এর আগে, গত সোমবার মহান বিজয় দিবসের যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সভাপতিত্ব করেন। সভায় অংশ নেন সংস্কৃতি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বিজয় দিবসের দিন সকাল ১১টা থেকে ঢাকার তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী পৃথকভাবে উড়ান প্রশিক্ষণ ও ফ্লাই পাস্টের আয়োজন। ওই সময়ে একটি বিশেষ ব্যান্ড শো চলবে এবং বিকেল ১১:৪০ মিনিটে ‘টিম বাংলাদেশ’ এর ৫৪ প্যারাট্রুপার নতুন স্বাধীনের ৫৪ বছর উদযাপন ও পতাকা দিয়ে প্যারাশুটিং করবেন। এই অনুষ্ঠান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের অন্যান্য শহরেও সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনী অংশগ্রহণ করে অনুরূপ পরিসরে ফ্লাই পাস্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিভিন্ন শিশু সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এর পাশাপাশি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঢাকায় ১৫ ডিসেম্বর অ্যাক্রোবেটিক শো, যাত্রা ও বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠান এবং দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র ও শিল্পীর পরিবেশনা। উপরন্তু, চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা, পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট ও পাগলা, বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে জাহাজ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। দেশের সিনেমা হলে ছাত্রছাত্রীদের বিনা টাকায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রামাণ্য প্রদর্শনী, জাদুঘর ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো দিনে-রাতে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি সংগঠনগুলো বিশেষ প্রার্থনা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করবে। এই দিনটি সারাদেশে একাগ্রতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ এবং দেশপ্রেমের নতুন উদ্দীপনায় উদযাপিত হবে।
