সার্বজনীন রাজনীতি করতে হলে দেশের মাটিতে ফিরে আসা জরুরি: সাদিক কায়েম – Daily Bhorer Potrika

সার্বজনীন রাজনীতি করতে হলে দেশের মাটিতে ফিরে আসা জরুরি: সাদিক কায়েম

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদিক কায়েম বলেছেন, তরুণরা এখন দেশের স্বার্থে রাজনীতি করতে হলে দেশের মাটিতে ফিরে আসতে হবে। লন্ডন বা দিল্লি থেকে নয়, দেশেরই প্রাচীরের ভেতর থেকে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের তরুণরা গত ষোলো বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। এখন আমাদের দায়িত্ব হলো জুলাইয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মতো ভোটকেন্দ্রগুলো নিরাপদ রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। এদেশের রাজনীতি চালানোর জন্য দরকার তরুণদের উদ্যোগ, ইনসাফের মানদণ্ডে যেন কাজ করতে পারে এমন নেতৃত্ব। এদেশের মাটি এবং ভাষাকে ধারণ করে, দেশের স্বার্থকে প্রথমে রেখে রাজনীতি করতে হবে। দেশের মাটির বাইরে বসে আর কোনো রাজনীতি চলবে না—এটাই এখন বাস্তবতা।

সাদিক কায়েম বলেন, আজকের তরুণরা প্রতিবাদ জানান দিতে শিখেছে। তারা সচেতন, এক হয়ে বাংলার শোকের দিনগুলো, July আন্দোলনে শহীদদের স্বপ্নের জন্য কাজ করতে হবে। সাংগঠনিক ব্যর্থতার জন্য এখনো আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হয়নি, কিন্তু ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা পাবলিক ক্লাব মাঠে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত তরুণ্য উৎসব ও নির্বাচনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডাকসুর ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, গত ষোলো বছরে জেতার জন্য প্রকাশ্যে ফ্যাসীবাদী শক্তির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস হয়েছে আমাদের শিক্ষা, অর্থ ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা। তাই আমাদের নতুন প্রজন্মকে ইনসাফের মানদণ্ডে নেতৃত্ব বাছাই করতে হবে। ইতোমধ্যে ইনসাফের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত নেতারা নিজেদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ They’ve দিচ্ছেন।

সাদিক কায়েম আরো বলেন, বিগত সময়ে ভারত আমাদের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ইনসাফের প্রতিনিধিরা সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ করেছি। আমাদের এই প্রতিনিধিদের বিজয়ী করে তোলা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তরুণরা যেভাবে এগোবে, দেশও একই পথে এগোবে।

ঠাকুরগাঁও উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এক সময় এই জেলায় একটি এয়ারপোর্ট ছিল, যা রাজনৈতিক কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার নতুন বাংলাদেশে কেউ যদি অর্ডার দেয়, তাহলে ঠাকুরগাঁওয়ের এয়ারপোর্ট আবার চালু হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো দুর্বল, প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে কাজ করছে আমাদের প্রার্থীরা। এখানকার কৃষক ও পেশাজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সরাসরি চিকিৎসা সেবাও সঠিকভাবে পেতে পারছে না মানুষ—সেকারণে আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলবে, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে যথাযথ ট্রিটমেন্ট নিশ্চিত করা হবে। প্রবাসীদের সম্মান ও তাদের অধিকার আদায়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সীমান্তে হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, অতীতের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে যে সব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচার এবারই হবে স্বদেশে, এই বাংলাদেশে। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমাদের সং Еще এই আন্দোলন চলবে।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন বলেন, আমরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজদের নেতৃত্ব চাই না। আমাদের লক্ষ্য ছাত্ররাই দুর্নীতিমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে। আগামী দিনগুলোতেও এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ হবে।

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মিজানুর রহমান মাস্টার বলেন, এ আন্দোলনের পর থেকে আমরা আর কাউকে ভয় করি না। ভোটের দিন অনিয়মের জন্য কেন্দ্রীয় দখল বা ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করলে—we, তরুণরা সেটা বরদাশত করব না। সবাইকে বলা হয়, ইসলামিক দলগুলো দেশের জন্য নিরাপদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের সংগঠক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, who বলেন, স্বাধীনতার ১২১ বছর আগে লক্ষণ সেনের শোষণ দেখে আমাদের আন্দোলনের শুরু। এখন শেখ হাসিনা জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পালিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার পালিয়ে যাওয়া মানে কেবল অপ্রীতিকর নয়, সেটি বাংলাদেশের ইনসাফের বিজয়—দেশের মুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বেলাল উদ্দিন প্রধান, সেক্রেটারি মো. আলমগীর হোসেন, ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাকিম।

এটাই সমাপনী খবর।