তিন দিন পর খালেদা জিয়া কথা বললেন, পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি এখনো – Daily Bhorer Potrika

তিন দিন পর খালেদা জিয়া কথা বললেন, পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি এখনো

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: নভেম্বর ৩০, ২০২৫

এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থান এখনো সংকটাপন্ন। তিনি গত শনিবার সকালেই তার ছোট ছেলে, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমানের সঙ্গে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলেছেন, এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার চিকিৎসক ও পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র।

চিকিৎসকেরা জানান, গত তিন দিনের তুলনায় তার কিছুটা উন্নতি হলেও সম্পূর্ণ স্বস্থ্য ফিরে আসেনি। বিশেষ করে কিডনির কার্যক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় তাকে চার দিন ধরে টানা ডায়ালাইসিসের মধ্যে রাখা হচ্ছে। শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে গেছে। যদিও তিনি সচেতন থাকলেও এখনও কোনো ধরনের সাড়া দিচ্ছিলেন না বলে জানানো হয়।

অंतত্মে, তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, আমেরিকার জনস হপকিনস হাসপাতাল এবং লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডমতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থা বিমানযাত্রার জন্য কতটা প্রস্তুত, সেটি বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

একটি পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া এই কয়েক দিনের মধ্যে সামান্য কথা বলার বিষয়টি চিকিৎসকদের জন্য আশার বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছেন, পরিস্থিতি হঠাৎ পরিবর্তনের সম্ভাবনা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

বয়স ৮০ বছর হলে এই দীর্ঘ সময় ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি, যার মধ্যে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আার্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস এবং কিডনির জটিলতা রয়েছে। 지난 রবিবার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে আছেন এবং দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বিএনপি নেতারা জানান, গত শুক্রবার তার অবস্থার সংকট আরও গভীর হওয়ার কথা প্রকাশ হয়েছিল।

অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় বেড়ে যায়। কেউ কেউ ব্যানার নিয়ে দোয়া মাহফিলও করেন, যা যানবচাচলতাকে বিঘ্নিত করায় অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নেতাকর্মীরা যেন হাসপাতালে ভিড় না করে। এতে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে এবং হাসপাতালে কাজের স্বাভাবিকতা ব্যাহত হচ্ছে। তারেক রহমান পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া ও ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।