বরবটি-করলার সেঞ্চুরি, কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি – Daily Bhorer Potrika

বরবটি-করলার সেঞ্চুরি, কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫

গত تین মাস ধরে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন যে পরিস্থিতি তাতে আলু ও কাঁচা পেঁপে ছাড়া প্রায় সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে নেই। এই পরিস্থিতিতে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, আগের তুলনায় তাদের বিক্রি অনেক কমে গেছে। পাশাপাশি, অধিকাংশ ক্রেতা এখন আধা কেজি করে সবজি কিনছেন, কারণ দাম বেশি হওয়ার কারণে তারা প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট ছোট পরিমাণে কেনাকাটা করছেন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সবজির দাম আরো বেশ কিছুটা বেড়ে গেছে। আজকের বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধন্দুল ৮০ টাকা। এছাড়া, বরবটির দাম ১০০ টাকা, করলার দাম ১০০ টাকা, শাসা ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, কঁচু ৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, কঁচুর লতি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করে আসলেন বেসরকারি চাকরিজীবী জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে সবজির দাম বেড়েই চলেছে। এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায় না। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এই দামে সবজি কেনা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। আমি নিজে চাইলে একেকটা আইটেমের সবজি আধা কেজি করে কিনেছি। সরকার বা কর্তৃপক্ষের কিছু নজরদারি বা পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না, যার ফলে বাজারের দাম এত বেড়ে গেছে।

মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বললেন, দাম বাড়ায় আমাদের ব্যবসা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন যেখানে আগে এক কেজি সবজি বিক্রি করতাম, এখন তা আধা কেজি করে বিক্রি করতে হয়। ক্রেতারা এখন বেশি করে আধা কেজি করে সবজি কিনছেন। আগে দিনে আমরা ২০ কেজি সবজি বিক্রি করতাম, বর্তমানে তা কমে এসে দিনে মাত্র ৫ কেজি। ফলে আমাদের আয় অনেক কমে গেছে।

মগবাজারের সবজি বিক্রেতা হাবিবুর রহমান জানালেন, আরও কয়েক দিন সবজির দাম আরো বাড়তে পারে। কারণ, এখন বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ হতে চলেছে, এবং নতুন মৌসুমে সবজি বাজারে আসার আগে দাম এমনই থাকবে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশ কম, তাই দাম বাড়ছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

সাংবাদিক: এমকে।