সবজির পর মুদি পণ্যের দামও বেড়েছে, আসছে আলুর বাজার আবার চড়বে – Daily Bhorer Potrika

সবজির পর মুদি পণ্যের দামও বেড়েছে, আসছে আলুর বাজার আবার চড়বে

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: আগস্ট ২৯, ২০২৫

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে সবজির দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এর পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে মুরগির শরীর ও ডিমের দাম। এখন নতুন করে মুদি পণ্যের মূল্যেও ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডাল, আটা ও ময়দার দামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভোক্তাদের জন্য আলুর বাজারগুলোও আবার চড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা বাজারে জনসাধারণের দেখা গেছে এই চিত্র। কিছু দিন আগে একটি কেজি আটা কোম্পানিভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, যা আগে কয়েক টাকা কম ছিল। অন্যদিকে, ময়দার দাম কেজিতে বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।

সাধারণ মানের মসুর ডালের দাম এখন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় পৌঁছেছে, যেখানে আগে এটি ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হত। এর মানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। বড় দানা মসুরের দামও এখন ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অর্থাৎ, মুদি পণ্যের দামের এই চড়াও ভাবজনক হয়েছে। তবে সবজির বাজারে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। এক কেজি বেগুন এখনও ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা, কচুর লতি, ঢ্যাঁড়স, কচুর মুখি, পেঁপে, চিচিংগা-ঝিঙ্গা ও কাঁচামরিচের দাম যথাক্রমে ৯০-১০০, ৮০-১০০, ৭০-৮০, ৮০-৯০, ৩০-৪০, ৯০-১০০ ও ২০০-২৫০ টাকার মাঝে ঘোরাফেরা করছে।

পেঁয়াজের দাম কমেনি, তবে আমদানির পরিমাণ বাড়লেও বাজারে বিক্রির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সরকারী হিমাগার পর্যায়ে এখন পেঁয়াজের মিনিমাম মূল্য ২২ টাকা নির্ধারিত হলেও, বর্তমানে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। কারওয়ান বাজারে পাইকারি দামে পেঁয়াজের দাম ৬০-৬২ টাকা, আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭২ টাকায়।

অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ডিম ও মুরগির肉ও। ব্রয়লার মুরগি এখন ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকায়। ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৪৫-১৫০ টাকায় চলছে।

আলুর দামও ভবিষ্যতে বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন কৃষক ও ব্যবসায়ীর মতে, গত কয়েক মাস ধরে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে আলুর দাম আড়াই টাকা কেজি পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। তবে, সম্প্রতি সরকার আলুর হিমাগার পর্যায়ে ন্যূনতম মূল্য ২২ টাকা নির্ধারণ করলেও, খুচরা বাজারে এর প্রভাব ততোটা পড়েনি। আসতে আসতে দাম বাড়তে পারে বলে বাজারের দিক থেকে জানা যাচ্ছে।

আলুর হিমাগার গেটের মূল্য নির্ধারণে বলা হয়েছে, এখন যেখানে কেজি প্রতি তেল ১২-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে হিমাগার গেটে আলুর মূল্য ২২ টাকা হওয়ার পরে পাইকারি শুল্কে এটি ২৪ টাকা থেকে nguồnকমিতে ২৭-২৮ টাকা হবে। এর ফলে খুচরা বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে।

কারওয়ান বাজারের আলুর আড়তদার জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, ‘সরকারের মূল্য নির্ধারণের পরও সামান্য এক বা দুটো টাকা বেড়েছে। এখন আমরা সাড়ে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছি। যখন হিমাগার গেটে ২২ টাকায় বিক্রি হবে, তখন আমাদের জন্য কিনতে হবে অন্তত ২৪ টাকা, অর্থাৎ বিক্রি করতে হবে ২৭-২৮ টাকায়। এতে বাজারে দাম একটু বাড়বে, এটা স্বাভাবিক। বাজারে এখনো আলুর দাম ২৫-৩০ টাকা কেজি।’