বরিশালের ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, পদ্মা সেতুর সুফল কাজে লাগিয়ে সার্বিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলের আর্থসামাজিক পরিবর্তন আনতে পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রয়োজন। আধুনিক যোগাযোগ পরিকাঠামো, শিল্প, কর বিভাগ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, আমদানি-রপ্তানিসংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোর পরিধি বাড়াতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাস-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাঁরা আরও বলেন, শুধু যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হলেই হবে না; কৃষি, মৎস্য, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, শিল্পসহ বেশ কিছু খাতে অর্থনৈতিক উপযোগ সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করতে হবে। শিল্পায়নকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চল দুর্যোগপ্রবণ বলে আবহাওয়াজনিত সুরক্ষাও দিতে হবে।
ফরচুন গ্রুপ নামে শতভাগ রপ্তানিমুখী একটি কোম্পানি রয়েছে বরিশালে। এর কারখানা রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উৎপাদন ব্যয় নির্ভর করে কাঁচামালের প্রাপ্যতা, জ্বালানি, পরিবহন, যোগাযোগের ওপর। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এর সবকিছুই নিশ্চিত হবে যখন ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়ক প্রশস্ত হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রপ্তানিসংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোর কর্মকাণ্ড বরিশালে থাকতে হবে, যাতে বরিশাল থেকে পণ্য রপ্তানি করতে ঢাকায় যেতে না হয়।
পদ্মা সেতুর সুফল কাজে লাগিয়ে সার্বিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলের আর্থসামাজিক পরিবর্তন আনতে পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রয়োজন। আধুনিক যোগাযোগ পরিকাঠামো, শিল্প, কর বিভাগ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোর পরিধি বাড়াতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাস-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দারিদ্র্য মানচিত্র অনুযায়ী, পদ্মার ওপারের ২১টি জেলার ১৩৩টি উপজেলার মধ্যে ৫৩টি উচ্চ দারিদ্র্যঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে ২৯টিই বরিশাল বিভাগে। বিবিএসের ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারি অনুযায়ী, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উত্তরের বিভাগ রাজশাহী ও রংপুরের চেয়েও পিছিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমের খুলনা ও বরিশাল।
বরিশালে কয়েকটি ওষুধ, সিমেন্ট, টেক্সটাইল কারখানার বাইরে বড় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। পর্যটন খাতও বেশ পিছিয়ে। পদ্মা সেতু চালুর ফলে দক্ষিণের কৃষি, পর্যটন ও শিল্প বিকাশের অবারিত সম্ভাবনা দেখছেন এ অঞ্চলের মানুষ। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হলে এ এলাকার মানুষের আয় বেড়ে দারিদ্র্য বিমোচন হবে, এমনটাই আশা তাঁদের।
অপ্রশস্ত সড়কে সুফল মিলছে কম
পদ্মা সেতুর কল্যাণে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটাসহ দক্ষিণের ছয় জেলার মহাসড়কে গাড়ি চলাচল আগের তুলনায় কয়েক গুণ বাড়লেও সে অনুযায়ী সড়ক প্রশস্ত হয়নি। ঢাকা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সুপ্রশস্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের পর ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রায় ২০৫ কিলোমিটার মহাসড়ক ২৪ ফুট রয়ে গেছে।
সড়ক ও পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপ্রশস্ত সড়কের কারণে বর্তমানে ঢাকা থেকে বরিশালে পৌঁছাতে সময় লাগছে প্রায় চার ঘণ্টা। সড়ক প্রশস্ত হলে এ পথে আড়াই ঘণ্টার কম সময় লাগত। অপ্রশস্ত মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা ও চলাচল কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়া, বেপরোয়া গতি ও বাঁকের কারণে দুর্ঘটনাও বেশি ঘটছে। প্রায়ই এসব দুর্ঘটনায় ঘটছে প্রাণহানি।
ভাঙ্গা-কুয়াকাটা মহাসড়কটি প্রশস্ত করতে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাস হয়। কিন্তু সে প্রকল্পে এখনো জমি অধিগ্রহণ করা যায়নি। ফলে কবে নাগাদ মহাসড়কের নির্মাণকাজ শুরু হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। প্রকল্প প্রস্তাবে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। তবে এ পর্যন্ত কাজ শুরু করতে পারেনি সড়ক ও সেতু বিভাগ। এরই মধ্যে তিনবার ফেরত গেছে প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সড়ক নির্মাণে কতটুকু জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, তা চিহ্নিত করার দায়িত্ব পাওয়া পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে এই দীর্ঘসূত্রতা। প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিত করার পর তা অধিগ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে।
সিটি করপোরেশন-বিসিক দ্বন্দ্বে স্থবিরতা
বরিশাল সিটি করপোরেশন দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্প এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া ও পুরোনো লাইসেন্স নবায়ন করছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন এখানকার বেশির ভাগ শিল্পমালিকেরা। নতুন করে কোনো উদ্যোক্তাই এখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারছেন না। পুরোনো যাঁরা আছেন, তাঁরাও নানা সমস্যায় জর্জরিত। ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ব্যাংকঋণসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।
বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় ১৯৬০ সালে ১৩৩ একর জমি নিয়ে বিসিক শিল্প এলাকা গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেখানে ১৭৩টি ইউনিটের মধ্যে ১১৭টি চলমান। নিচু জমি ভরাট করে প্লট তৈরি এবং সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের অক্টোবরে বিসিকে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তখন মূল সড়কের পাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে চার ফুট জমি ছেড়ে দেওয়ার দাবি তোলে সিটি করপোরেশন। পরে এ নিয়ে বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সঙ্গে করপোরেশনের টানাপোড়েন শুরু হয়।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না হলে ভারী ও মাঝারি শিল্পকারখানা স্থাপনে শিল্পোদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা অসম্ভব। বরিশালে শিল্পায়নের জন্য ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস উত্তোলন জরুরি। এ অঞ্চলে শিল্পায়ন উৎসাহিত করতে ঢাকা বা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হলে তা বেশ ব্যয়বহুল হবে।
বরিশাল বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জালিস মাহমুদ বলেন, ৭৪ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৭ একর নিচু জমি ভরাট করে ১১০টি প্লট করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ৩০টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার কারণে উদ্যোক্তারা এখানে কারখানা স্থাপন করছেন না। ট্রেড লাইসেন্স–সংক্রান্ত একটি সমস্যা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের ছিল। সেটা সমাধান হয়েছে।
বরিশালের শিক্ষা ও আবাসন খাতের উদ্যোক্তা আমীর হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না হলে ভারী ও মাঝারি শিল্পকারখানা স্থাপনে শিল্পোদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা অসম্ভব। বরিশালে শিল্পায়নের জন্য ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস উত্তোলন জরুরি। এ অঞ্চলে শিল্পায়ন উৎসাহিত করতে ঢাকা বা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হলে তা বেশ ব্যয়বহুল হবে।
লঞ্চ ব্যবসা লাটে, রমরমা সড়ক পরিবহন
রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের অনেক পুরোনো বাহন লঞ্চ। তবে এখনকার বিলাসবহুল ও আধুনিক প্রযুক্তির বড় লঞ্চের যাত্রা শুরু হয় এক যুগ আগে। ব্যবসায়ীদের ধারণা ছিল, পদ্মা সেতু হওয়ার পরও নৌপথে যাত্রী কমবে না। কিন্তু সেতু চালুর পরই লঞ্চ ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে লোকসানে পড়েছেন লঞ্চমালিকেরা। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম রেখেও যাত্রী পাচ্ছেন না তাঁরা। ভবিষ্যতে লঞ্চের যাত্রী স্বাভাবিক হবে, তেমনটা আর ভাবছেন না দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় জড়িত লঞ্চমালিকেরা।
এ ব্যবসার উদ্যোক্তারা জানান, যাত্রী কম থাকায় প্রতিবার রাউন্ড ট্রিপে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তাঁদের লোকসান হচ্ছে। ঢাকা-বরিশাল নৌপথে প্রতিদিন ৯টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি থাকলেও এত দিন ৬ থেকে ৭টি লঞ্চ চলত। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ নৌপথে প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট থেকে তিনটি ও বরিশাল নদীবন্দর থেকে তিনটি লঞ্চ চলছে। এ জন্য এই নৌপথে চলাচলকারী ১৮টি লঞ্চকে ৬টি গ্রুপে ভাগ করে রোটেশন প্রথা চালু করা হয়েছে।
আবার বছর দশেক আগেও একটি লঞ্চ তৈরিতে ব্যয় হতো ছয়-সাত কোটি টাকা। এখন লঞ্চের আকার যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বিনিয়োগের পরিমাণ। একটি বড় লঞ্চ তৈরিতে খরচ হয় ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা। লঞ্চের মেয়াদ থাকে ৩০ বছর। তবে লগ্নির পুরো অর্থ উঠতে সময় লাগে সাত থেকে আট বছর। অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকঋণ নিয়ে ব্যবসায় নেমেছেন।
লঞ্চমালিকেরা ধারণা করছেন, নৌপথের এ সেবা খাত ধীরে ধীরে বন্ধের দিকে এগোচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে লঞ্চ কেটে লোহার দামে কেজি হিসেবে বিক্রি করতে হবে। বেকার হয়ে পড়বেন লঞ্চশ্রমিকেরা। ঐতিহ্যবাহী এ খাত রক্ষায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন মালিকেরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর পর লঞ্চ ব্যবসা অনেকটা ঝুঁকিতে পড়ে। এরপর তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে কিছুটা সফলতাও এসেছিল। কিন্তু পরপর দুই দফায় জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় আর উঠে দাঁড়ানোর পথ দেখছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় একটি লঞ্চ ট্রিপ দিয়েছে। ওই এক ট্রিপেই লোকসান হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। বর্তমানে সব লঞ্চেরই এ অবস্থা।’
লঞ্চে বরিশালে যেতে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা লাগছে। সেখানে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে চার ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে গন্তব্যে। চাহিদা থাকায় বেশ কয়েকটি পরিবহন ঢাকা-বরিশাল পথে বাস নামিয়েছে। সেতু চালুর পর এ সড়কপথে নতুন অন্তত ৫০০ বাস নেমেছে বলে জানান বরিশাল বাসমালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে।
পর্যটক বাড়লেও স্থাপনা গড়ে ওঠেনি
রাজধানী থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৩৯৪ কিলোমিটার। আর পদ্মা সেতু হয়ে রাজধানী থেকে সাগরকন্যা কুয়াকাটার দূরত্ব ২৯৩ কিলোমিটার, তবে বরিশাল নগর থেকে দূরত্ব ১০৮ কিলোমিটার। একসময় বরিশাল-কুয়াকাটায় যাতায়াতে সাত-আটটি ফেরি পার হতে হতো। এখন সব নদীতে সেতু হয়েছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে।
শুধু কুয়াকাটা নয়, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পাশাপাশি বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি, পাথরঘাটার হরিণঘাটা বন, সাতলার শাপলাবিল, ভাসমান পেয়ারা বাজার, ভোলার চর কুকরি-মুকরি, মনপুরা, লাল কাঁকড়ার চর হয়েছে পর্যটকদের নতুন গন্তব্য। এগুলোর একেক জায়গার প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য একেক রকম।
দক্ষিণের দর্শনীয় স্থানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এখনো তত প্রস্তুতি নেই। পর্যটনকেন্দ্রিক স্থাপনাও গড়ে ওঠেনি খুব একটা। পর্যটকদের ভিড় সামলাতে আবাসনসহ অন্যান্য সুবিধা অপ্রতুল। শুধু কুয়াকাটার সব হোটেল-মোটেল মিলে এখন প্রায় সাত হাজার পর্যটকের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরিফ বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত রাজধানীর কাছাকাছি চলে এসেছে। কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। পর্যটক আকর্ষণে অবকাঠামোর নির্মাণ ও প্রচার বাড়াতে হবে।’