শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন রবিবার থেকে যান চলাচলে জন্য খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রত্যাশিত মেগা প্রকল্প।
সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন। বিদেশি কূটনীতিকসহ দেশ বরেণ্য সুধীজনরা উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে।
এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে সেতু উভয় প্রান্তের ৩ জেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ও শিমুলিয়া ঘাটে এবং শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি জনসভাস্থলে সাজ সাজ রব। ব্যানার ফেস্টুনে ছেড়ে গেছে চারপাশ।
শনিবার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী নামফলক উন্মোচনের পর টোলপ্লাজার সামনে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেতু পেরিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। জাজিরা প্রান্তে নামফলক উন্মোচনের পর বিকেলে জনসভায় বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রায় ১৫ একর জমির ওপর ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মঞ্চের ভিতরে ও বাইরে বসানো হয়েছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। থাকবে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে। সভাস্থলে ৫০০ অস্থায়ী শৌচাগার, সুপেয় পানির লাইন, তিনটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল, নারীদের আলাদা বসার ব্যবস্থা প্রায় দুই কিলোমিটার আয়তনের সভাস্থলে দূরের দর্শনার্থীদের জন্য ২৬টি এলইডি মনিটর ও ৫০০ মাইকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া নদীপথে আসা মানুষের জন্য ২০ পন্টুন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করেছে।