নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কোনো উদ্যোগে শেয়ারবাজারের দরপতনের ধারার পরিবর্তন হচ্ছে না। সূচকের উত্থানে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল বুধবার দিনের লেনদেন শুরু হলেও বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমেছে ৯৩ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমেছে ১৭০ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতন হলো।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা দরপতন ঠেকাতে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। ফলে মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ব্রোকার ডিলারের বিনিয়োগ বেড়েছে ২০০ কোটি টাকা। এছাড়াও আইসিবির বিনিয়োগ যাতে বৃদ্ধি পায়, তারা যেন বাজারকে সার্পোট দিতে পারে, সেই জন্য ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, গতকাল বুধবার বাজারে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের ২০ কোটি ৬০ লাখ ১১ হাজার ৭৮৭টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৩১০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৯৩ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ১৭ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট।
গতকাল বুধবার ডিএসইতে ৭৬২ কোটি ৯৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাত্ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমল। গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয় ইসলামী ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিক, জেএমআই হসপিটাল, সালভো ক্যামিক্যাল,আরডি ফুড, আইপিডিসি, বঙ্গজ, এসিআই ফরমুলেশন এবং লাফার্জহোলসিম লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৭৫ পয়েন্টে। এ বাজারে ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২১৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। এদিন লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৩৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৭ কোটি ৯৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।