ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এরইমধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন চিত্রনায়িকা অধরা খান। বর্তমানে হাতে রয়েছে একাধিক ছবির কাজ। নিজের নতুন ছবি ও ইন্ডাস্ট্রির সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন আমাদের প্রতিবেদকেরসাথে।
বর্তমান কাজের ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাই—
এখন তো করোনার কারণে সবকিছুই থমকে আছে। তারপরও ‘বর্ডার’ ছবিটির শুটিং করলাম। এছাড়া করোনার কারণে শুটিং বন্ধ রাখা ছবিগুলোর কাজ আবার শুরু করার অপেক্ষায় আছি।
তারকাদের মানুষ আদর্শ ভাবেন, ফলো করেন। তবে করোনার ভেতরেও কয়েকজনকে দেখা গেল দামী গাড়ির সঙ্গে ছবি দিয়ে শো অফ করতে! এটাকে কতটা দায়িত্ববোধের মনে করেন আপনি?
কে, কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করবে সেটা তার নিজের ওপর নির্ভর করে। অনেকেই বলেন, তারকাদের ব্যক্তিজীবন বলে কিছু নেই। কিন্তু আমরাও তো মানুষ! দিনশেষে আমরাও ব্যক্তিজীবনটা উপভোগ করি। তবে একজন শিল্পীর সামাজিক বা দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ অনেক বেশি থাকে। আমার মনে হয় এই বিষয়টি সকলেরই মাথায় রেখে কাজ করা উচিত।
একজন চিত্রনায়িকা হিসেবে সামাজিক দায়বোধ আপনার ভেতরে কতটা কাজ করে, কীভাবে?
চিত্রনায়িকার আগে একজন মানুষ হিসেবে দায়বদ্ধতা আগে আসে। তবে সাধারণ মানুষ থেকে একটু বাইরে গেলে এই দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে যায়। আমি এই দায়বদ্ধতার জায়গায় সবসময় সচেষ্ট থাকার চেষ্টা করি।
শিল্পী সমিতি পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করেছে। আপনার মন্তব্য কী?
আমি তাদের পক্ষে-বিপক্ষে বলবো না। কারণ যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা আমার চেয়ে অনেক বিজ্ঞ। আবার যারা তাদের বিরুদ্ধে এবং পরীমনির পক্ষে কথা বলছেন, পাশে থাকছেন তারাও আমার চেয়ে বিজ্ঞ। আসলে সিদ্ধান্তটি একটু তাড়াতাড়ি নেওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। তবে তাকে কিন্তু একবারে বহিষ্কার করেনি। সাময়িক স্থগিত করা হলেও সিনিয়র অনেকেই পরীমনির পাশে রয়েছেন।
আপনাদের সিনিয়রদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক এখন কেমন?
ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়রদের সম্পর্ক নিঃসন্দেহে অনেক ভালো। একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীকে যতটুকু টেককেয়ার করা যায়, তারা করছেন। তারা যেমন সিনিয়র হিসেবে শাসন করছেন তেমনি স্নেহ করছেন, কাজ শেখাচ্ছেন। আমরাও তাদের সম্মান দিচ্ছি।
স্বজনপ্রীতির চর্চা কী আদৌ ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছে?
দেখুন, আমি যদি এসেই ভাবি সব ভালো কাজগুলো আমার পাওয়া উচিত, তাহলে তো হবে না। যোগ্যতা প্রমাণ করে, দর্শক গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে কাজ পেতে হবে। তাছাড়া পরিচালক-প্রযোজকরাও তার গল্প অনুযায়ী শিল্পী কাস্ট করেন। দর্শকরা পর্দায় স্বজনপ্রীতি না, অভিনয় দেখতে চান।
বিশ্বে অনেক নামীদামী তারকারা ওটিটির দিকে ঝুঁকলেও আমাদের তারকাদের সেভাবে দেখা যাচ্ছে না কেন?
আমাদের দেশে ওটিটি সবে যাত্রা শুরু করলো। পরিচিত এবং অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে। এরইমধ্যে কিন্তু অনেকেই এই মাধ্যমটিতে শুরু করেছেন। আমরা যারা এখনো কাজ করিনি তারা মনের মতো গল্প-চরিত্রের অপেক্ষায় আছি।
ওটিটিতে শিল্পী-নির্মাতা কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন?
আমাদের দেশে নির্মাতাদের স্বাধীনতা একটু কম রয়েছে। আমাদের সেন্সর বোর্ড দর্শকদের কথা মাথায় রেখে অনেক ভেবে-চিন্তে ছবি রিলিজ দেয়। যাতে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। তাই তারা চাইলেও হয়তো ততটা স্বাধীনতা দিতে পারবে না।
দীর্ঘদিন নতুন ছবি মুক্তির খবর নেই। এমন অবস্থায় চলচ্চিত্র আদৌ কী হলমুখী হতে পারবে?