আফগানিস্তানে বর্তমান পরিস্থিতি খুব সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্বাস করে দেশটির জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাই আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের একমাত্র নিশ্চয়তা।
সোমবার (১৬ আগস্ট) আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতিতে ঢাকার অবস্থান স্পষ্ট করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ, যা আঞ্চলিক বা তার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধিতে একত্রে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে নীতি রয়েছে, সেটি বাস্তবায়নে আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ মনে করে, দেশটির জনগণের পছন্দ অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক ও বহুমুখী দেশ হলে তা আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে। বাংলাদেশ নিজেকে আফগানিস্তানের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু বলে মনে করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, পয়ঃনিষ্কাশন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান বিনিময় করার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলো এসব কাজ গত বিশ বছর ধরে দেশটিতে করে আসছে।
বাংলাদেশ মনে করে, আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং কোন দিকে তারা যাবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করে দেশের জনগণের ওপর। আফগানিস্তানকে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ আর দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের জন্য অবদান সৃষ্টিকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশ দেখতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে মিলে আফগান জনগণের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।