চলতি মাসের ১ম দিন থেকে ফ্রি এজেন্ট বনে গেছেন লিওনেল মেসি। পেশাদার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। এর আগে প্রতিবারই তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে বার্সেলোনা। তবে এবার আর তাকে রাজি করাতে পারে নি কাতালান ক্লাবটি।
তবে স্পোর্ট নামক একটি গণমাধ্যম বলছে, মেসি-বার্সার চুক্তিতে বাধা দিয়েছে তৃতীয়পক্ষ। তিনি লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস।
করোনার কারণে আর্থিক সংকটে পড়া বার্সা তাদের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে আরো ২ বছরের জন্য চুক্তি করতে চায়। তবে তার বেতনভাতা তারা পরিশোধ করতে চায় আগামী ৫ বছরে।
লা লিগা চায় ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড়দেরকে নিজেদের বাৎসরিক আয় থেকে বেতনভাতা দেবে। তবে এমনভাবে সেটি দিতে হবে যাতে বেতনভাতা পরিশোধ শেষেও ক্লাব লাভের মুখে থাকে।
চলতি বছরের শুরুতে বার্সেলোনা জানায়, তাদের ঋণের পরিমান ১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং যেকোন মুহুর্তে ক্লাবটি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে গ্রিজম্যান, দেম্বেলে, কৌতিনিয়োর মতো প্লেয়ারদেরকে কিনতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে বার্সা। ফুটবলারদের বেতনভাতার ক্ষেত্রেও বার্সা বেশ উদারহস্ত। যেটি ‘ফেয়ার প্লে’ নিয়মানুযায়ী লা লিগার বেঁধে দেয়া অংককে ছাড়িয়ে যায়। সবমিলিয়ে বার্সেলোনাকে বেতন কমানোর নির্দেশ দিয়েছে লা লিগা। আর সেক্ষেত্রে তাদের প্রধান টার্গেট লিও।
মাসকয়েক আগে মেসির সঙ্গে বার্সার করা আগের চুক্তিটি ফাঁস হয়। জানা যায়, ৪ বছরের জন্য মেসিকে ক্লাবটি বেতনভাতা বাবদ প্রদান করে ৫৫৫ মিলিয়ন ইউরো। যেটি শুনে চোখ কপালে উঠেছে সবার। এরপরই নড়েচড়ে বসে লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
চুক্তিসংক্রান্ত ঝামেলা এড়িয়ে মেসিকে শেষপর্যন্ত ক্লাব ধরে রাখতে পারলেও, তখনো থাকবে কর ও অন্যান্য আরো কিছু বিষয়। সবমিলিয়ে বার্সার সামনে সমস্যা অনেক। তবে সব সামলে আর্জেন্টাইন জাদুকরকে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তারা।