রামোস-জিদানদের বিদায় নিয়ে মুখ খুললেন পেরেজ – Daily Bhorer Potrika

রামোস-জিদানদের বিদায় নিয়ে মুখ খুললেন পেরেজ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুন ২৫, ২০২১

জিনেদিন জিদান, সার্জিও রামোস, ইকার ক্যাসিয়াস, গ্যারেথ বেল। রিয়াল মাদ্রিদে কিংবদন্তিতুল্য ভূমিকা তাদের। ক্লাবের জন্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে ক্লাব থেকে তাদের প্রস্থানটা বেশ বেদনাবিধুর। এর জন্য মাদ্রিদ সমর্থকরা দায়ী করেন ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে। কিংবদন্তিদের যথাযথ সম্মান দিতে না পারার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে বেশ পুরনো।

৭৪ বছর বয়সী এই সংগঠক এবার মুখ খুললেন সব অভিযোগের বিষয়ে। জানালেন জিদান-রামোসদের বিদায়ের কারণ। সঙ্গে মুখ খুলেছেন নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি, মার্সেলো-ভারানেদের ভবিষ্যত নিয়েও। পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের মাদ্রিদে যোগ দেয়া নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে স্প্যানিশ একটি রেডিওতে হাজির হয়ে এসব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি। তার মুখেই শুনে আসা যাক ক্লাব কিংবদন্তিদের বিষয়ে।

সার্জিও রামোস

ওর বিদায়ের সময় আমাকে কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। আমি ওকে ছেলের মতো পছন্দ করি। তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে আমি ছিলাম না, কারণ কারো বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনেই আমি কখনো থাকিনি। সে রিয়াল মাদ্রিদের একজন কিংবদন্তি। আমরা তাকে একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তার একটা সময়সীমা ছিল কিন্তু সে সেটি গ্রহণ করেনি। সে হয়তো অন্যকিছু ভাবছিলো। আমি জানি, সে অনেক ভালো কিছু করবে। আমি আশা করি আমরা তাকে যা দিতে পারিনি অন্য ক্লাব নিশ্চয়ই তাকে সেটি দিতে পারবে। রিয়াল মাদ্রিদ তার বাড়ি, আমি নিশ্চিত সে আবার এখানে ফিরবে অন্য কোন ভূমিকায়।

জিনেদিন জিদান

জিদানকে যেহেতু আমি চিনি, তার চলে যাওয়ায় অবাক হইনি। গত বছরটা বেশ কঠিন ছিল। পুরো একটা বিকেল আমি চেষ্টা করেছি তাকে বুঝাতে, যেন সে ক্লাব ছেড়ে না যায়। জিদানের চিঠিটি আমি পড়িনি তবে আমি নিশ্চিত এটা তার লেখা না। আমি তাকে বেশ ভালোভাবে চিনি। সে ক্লাব ছেড়ে গেছে কারণ সে ক্লান্ত। তার জন্য আমি দায়ী নই, দায়ী মিডিয়া। তার ইচ্ছা একদিন ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হওয়ার, আশা করি তার ইচ্ছা পূরণ হবে।

ইকার ক্যাসিয়াস

ক্যাসিয়াস ভালোভাবে বিদায় নেয়নি। আমি তাকে রাতে ডেকেছিলাম, একটা বিদায়ী অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। নানা কারণে সে তখন সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলো না। সবাই তাকে একজন গ্রেট, কিংবদন্তি হিসেবে মনে রাখবে। তার বিষয়টা শিশুসুলভ ছিল। তবে আমি নিশ্চিত এখানকার সবাই তাকে ভালোভাবেই বিদায় দিতে চেয়েছিল।

কিলিয়ান এমবাপ্পে

রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা সেরা ফুটবলারটাকেই এখানে চায়। সম্ভবত ১৮ বছর বয়সেই সেরা ফুটবলাররা ক্লাবে আসে। আমি জানি সমর্থকরা কি চায়। তারা জানে, আমার পলিসি কি? সেরা আর তরুণদের মিশেলে আমি দল বানাতে চাই। যে আমাদের দলে এখন নেই তাকে নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তবে বলছি, এমবাপ্পে অসাধারণ খেলোয়াড়। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের পরই চুক্তি হবে।

গ্যারেথ বেল

বেল ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। কিয়েভে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটা আমার মনে আছে (২০১৮’র ফাইনালে বেলের ওভারহেড কিকে জিতেছিল রিয়াল), লিসবনে তার হেড, কোপা দেল রেতে বার্সেলোনার বিপক্ষে তার দৌড়, সবই আমার মনে আছে।

রাফায়েল ভারানে

পত্রিকায় পড়ে জানলাম সে ক্লাব ছাড়তে চায়। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। সে ইউরো খেলছে। তার সঙ্গে আমার কথা হয় নি এবং আমি জানিনা সে কি চায়? যদি সে ক্লাব ছাড়তে চায় সেটি জানাবে। যদি সে থাকতে চায় সেটিও জানাবে। এখন পর্যন্ত সে রিয়াল মাদ্রিদে আছে এবং আরো ১ বছর তার চুক্তি আছে। তার জন্য কোন অফার আছে কিনা আমার জানা নেই।

মার্সেলো

মার্সেলোর এখনো ১ বছর চুক্তির মেয়াদ আছে। সে রিয়াল মাদ্রিদের ক্যাপ্টেন হবে। সে অনেক বছর ধরে এখানে আছে। তার মতো একজন লেফটব্যাক পাওয়া এই মুহুর্তে বেশ কঠিন। রবার্তো কার্লোসের মতো এই ক্লাবের ইতিহাসের সেরা লেফটব্যাকদের একজন মার্সেলো।

কার্লো আনচেলত্তি

আনচেলত্তিকে পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। শুরু থেকেই আমরা তার কথা ভেবেছি এবং সে এখানে। আমি পচেত্তিনো, অ্যালেগ্রি কিংবা কন্তে কারো সঙ্গেই কথা বলিনি। আমরা মনে করেছি ক্লাবের এখনকার সমস্যা সমাধানের জন্য আনচেলত্তিই সেরা অপশান।

রাউল গঞ্জালেজ

আমাদের অভিজ্ঞ কাউকে দরকার ছিল। রাউলও অভিজ্ঞ হয়ে উঠছে বছরের পর বছর ধরে। ভবিষ্যতে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হওয়ার মতো সবধরণের গুণই আছে তার মধ্যে।