সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রবিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। সে সঙ্গে দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। গতকাল লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় এসে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে উলটো দিকে হাঁটতে থাকে সূচক। বড় উত্থান থেকে এক পর্যায়ে সূচক ঋণাত্মকও হয়ে পড়ে। তবে শেষ ৫ মিনিটের লেনদেনে পতনের হাত থেকে কোনো রকমে রক্ষা পায় ডিএসইর প্রধান সূচক।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। দিনের লেনদেন শেষে সূচকটি আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রধান সূচকের এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে অংশ নেওয়া ১১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৯৬টি এবং ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৪৮ কোটি ৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১০৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কনটিনেন্টাল ইনসিওরেন্স ২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক ইনসিওরেন্স।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে— বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ জেনারেল ইনসিওরেন্স, বেক্সিমকো, নর্দান ইসলামি ইনসিওরেন্স, রিপাবলিক ইনসিওরেন্স, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি এবং ব্র্যাক ব্যাংক।
গতকাল অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৪টির এবং ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত।