আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম এমপির মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর টানা তিন দিন শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি ও অবনতি হয়নি। রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন। এখনো তিনি গভীর কোমায়। যতক্ষণ পর্যন্ত হার্ট বন্ধ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তার চিকিৎসা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। গতকাল সোমবার রাতে মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে মোহাম্মদ নাসিমের পরিবার এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার জন্য গতকাল সকালে আবারও তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, করোনামুক্ত হওয়ার পাশাপাশি শারীরিক অবস্থা উন্নতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো হতে পারে।
মোহাম্মদ নাসিম গত আট দিন ধরে ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। সেখানেই করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাতে ঐ পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্ট্রোক হয়। পরে জরুরিভাবে অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হয়।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা অপরিবর্তিত। নিবিড় পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারাও খোঁজখবর নিচ্ছেন। মোহাম্মদ নাসিমের আশু রোগমুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।