করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা-আখাউড়া উপজেলার কর্মহীন ও অভাবগ্রস্থ মানুষের পাশে নিবিড়ভাবে রয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সেজন্য নির্বাচনী এলাকায় তিনি এখন গরীবের বন্ধু হিসেবে খ্যাত।
এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় বিগত প্রায় দুই মাসে কেবল কসবা উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ৩৯ হাজার ৬০৫টি কর্মহীন ও হতদরিদ্র পরিবারকে ২ কোটি ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
ত্রাণ হিসেবে চাল, ডাল, তেল, আলু, পিঁয়াজ ও সাবান দেওয়া হয় এবং তা হত দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এসব ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন তিনি। করোনা কালে যারা ফােন করে বা অন্য কোনভাবে খাদ্য সমস্যার কথা বলেছেন, তাদের বাসায় জরুরি ভিত্তিতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
বিগত প্রায় দুই মাসে তাঁর তত্ত্বাবধানে কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নে ৫ হাজার ২৭ টি পরিবারকে ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকার, মেহারী ইউনিয়নে ১ হাজার ৭২০টি পরিবারকে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বাদৈর ইউনিয়নে ১ হাজার ৮৬৫টি পরিবারকে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, খাড়েরা ইউনিয়নে ৩ হাজার ২৫৮টি পরিবারকে ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪০০ টাকার, বিনাউটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৫টি পরিবারকে ১২ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকার, গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩৮২টি পরিবারকে ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, পশ্চিম কসবা ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৪২টি পরিবারকে ১১ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, কুটি ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৮০টি পরিবারকে ১০ লাখ ৬২ হাজার ১০০ টাকার, কাইমপুর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫৯১টি পরিবারকে ১৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার, বায়েক ইউনিয়নে ৫ হাজার ৯০৬টি পরিবারকে ৫৩ লাখ ২২ হাজার টাকার এবং কসবা পৌর এলাকায় ৫ হাজার ৯৯টি পরিবারকে ২৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে কসবা ও আখাউড়ার ১০ হাজার মানুষের মাঝে প্রায় ৪১ লাখ টাকার নতুন কাপড় বিতরণ করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রীর পক্ষে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া জীবন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এসব ত্রাণ ও নতুন কাপড় বিতরণ করেন।