শিল্পের শক্তি দিয়ে আমরা নতুন কিছু করতে চাই: নওশাবা – Daily Bhorer Potrika

শিল্পের শক্তি দিয়ে আমরা নতুন কিছু করতে চাই: নওশাবা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: এপ্রিল ১৭, ২০২০

পুরোবিশ্বে এখন আতঙ্ক মানে করোনা ভাইরাস। জরুরি কাজ ছাড়া এখন সবাই বাসা বন্দি। এক এক দেশে লকডাউনের সময়সীমা আলাদা হলেও কেউ জানে না ঠিক কবে এই ‘করোনা যুদ্ধ’ থেকে মুক্তি পাবে মানুষ। কোনো কাজ ছাড়া বাসায় বসে হতাশ অনেকে। আবার অনেকে এই সময়টাকে কাজে লাগাচ্ছেন ভিন্ন উপায়ে। বাসায় বসে অনেকটা সময় হাতাশায় না কেটে সময়টাকে মূল্যবান করে তোলা যায় সেই কথাও বলছেন অনেক তারকা। এবার সেই উদ্যোগকে আরও একটু বড় করে সামনে নিয়ে এলেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। তার সংগঠন ‘টুগেদার উই ক্যান’ ঘরবন্দি মানুষদের জন্য এক সৃজনশীল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

‘দূরে থেকেও জুড়ে থাকি শিল্পের শক্তিতে’—এই শ্লোগানের আয়োজনটির শিরোনাম ‘আর্ট ফর টুগেদারনেস’। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ছোটগল্প, কবিতা, শিশু আঙিনা, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ফটোগ্রাফি, চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, অলঙ্করণ ও কার্টুন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে। আর এগুলো নির্বাচন ও তত্ত্বাবধান করবেন দুই বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী শিল্পীরা।

চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্য বাছাই করবেন শিল্পী শেখ আফজাল হোসেন, জামাল আহমেদ, কনকচাঁপা চাকমা, মোস্তফা পলাশ ও কলকাতার দেবদত্ত গাঙ্গুলি। আলোকচিত্র দেখবেন মাহমুদ রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, তাহসিন রহমান, শাহাদাত পারভেজ, নাসিফ ইমতিয়াজ ও কলকাতার মালা মুখার্জি। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই করবেন নূরুল আলম আতিক, দীপংকর দীপন, কামাল বায়েজিদ, লিসা গাজী, মেসবাউর রহমান সুমন, কলকাতার অনির্বাণ চ্যাটার্জি ও অভিজিত্ চৌধুরী।

শিশু আঙিনার কিউরেটর হিসেবে আছেন সেলিনা হোসেন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, আহসান হাবীব, মোহাম্মদ আলী হায়দার, বন্যা মির্জা, নবনীতা চৌধুরী, মুনিরুল ইসলাম, লুত্ফর রহমান রিটন ও কলকাতার স্মারক রায়। ছোটগল্প ও কবিতা বাছাই করবেন আনিসুল হক, রাশিদা সুলতানা, শাহজাহান সৌরভ, শুভাশিস সিনহা এবং কলকাতার সাদিক হোসেন ও অনির্বাণ মজুমদার। কার্টুন ও অলঙ্করণে সব্যসাচী হাজরা, মোর্শেদ মিশু, রিশাম শাহাব তীর্থ, কলকাতার উপল সেনগুপ্ত, কানাডা থেকে ওয়াহিদ ইবনে রেজা। সংগীত বাছাইয়ে আছেন শফি মণ্ডল, রাফা, কলকাতার উপল সেনগুপ্ত, গৌরব চ্যাটার্জি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাসেল আলী, যুক্তরাজ্য থেকে রাজা কাশেফ ও রুবাইয়াত জাহান।

নওশাবা বলেন, ‘শিল্পের শক্তি দিয়ে আমরা নতুন কিছু করতে চাই। আশা করি সবাই এই সময়টা মনোবল না হারিয়ে সময়টা কাটাতে পারবেন। আপনাদের শিল্পগুলো আমরা সযত্নে রক্ষণাবেক্ষণ করবো মানব সভ্যতার চূড়ান্ত অস্তিত্ব পরীক্ষার সময়কার শিল্পের দলিল হিসেবে।’

মৌলিক ও অপ্রকাশিত শিল্পকর্মটি ২৯ এপ্রিল রাত ১২টার আগে পাঠাতে হবে [email protected] ই-মেইলে। এতে অংশ নিতে পারবেন যেকোনো দেশের নাগরিক। শিল্পকর্মের সঙ্গে নাম, বয়স, জাতীয়তা ও শিল্পীর ছবি সংযুক্ত করতে হবে। নির্বাচিত শিল্পকর্ম নিয়ে সপ্তাহব্যাপী একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। গল্প ও কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হবে বই। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, গান ও যন্ত্রসংগীত অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচারিত হবে